বাংলাদেশ রাষ্ট্র সংস্কার আন্দোলনের প্রধান কার্যালয়ে “নদী ও পরিবেশ রক্ষায় রাজনৈতিক নেতৃত্বের কাছে প্রত্যাশা” শীর্ষক এক আলোচনা সভা অনুষ্ঠিত হয়।
সভার শুরুতেই একটি প্রবন্ধ উপস্থাপন করেন রিভার বাংলার সম্পাদক ফয়সাল আহমেদ।
প্রধান আলোচক হিসেবে বক্তব্য রাখেন বাংলাদেশ রাষ্ট্র সংস্থার আন্দোলনের সভাপতি এডভোকেট হাসনাত কাইয়ূম। তিনি বলেন, নদী ও পরিবেশ রক্ষা আজ আমাদের বেঁচে থাকার সাথে ওতপ্রোতভাবে জড়িত। কিন্তু এই নদী এখন রাজনৈতিক হাতিয়ার হিসেবে ব্যবহার হচ্ছে। রাজনীতির কথা বললেই নদী ও পরিবেশের কথা আসে, নদীর কথা বললে রাজনীতির কথা আসে। নদী পরিবেশ রক্ষার জন্য রাজনৈতিক অঙ্গিকার দরকার। এ অঙ্গিকার আদায়ের জন্যই আজ বাংলাদেশ রাষ্ট্র সংস্কার আন্দোলন এর মাধ্যমে সারা দেশের রাজনৈতিক দলগুলোর কাছে বার্তা পাঠানোর উদ্যোগ নেয়া হয়েছে।
এছাড়াও সভায় আরও বক্তব্য রাখেন হাওর অঞ্চলবাসীর প্রধান সমন্বয়ক ড. হালিম দাদ খান,
পটুয়াখালীর সাংবাদিক ও পরিবেশযোদ্ধা আনোয়ার হোসেন, বরগুনার শফিকুল ইসলাম খোকন, বরিশালের রফিকুল আলম, পটুয়াখালীর আনোয়ার হোসাইন, নেত্রকোনার কে এম এ জামিল, বাপার কেন্দ্রীয় সংগঠক ও রংপুরের পরিবেশযোদ্ধা ফরিদুল ইসলাম, রাষ্ট্র সংস্কার আন্দোলনের নারী বিষয়ক সম্পাদক জাকিয়া শিশির, সহ সভাপতি ও সাবেক সচিব গোলাম শফিক, আইন ও মানবাধিকার বিষয়ক সহ – সম্পাদক অ্যাডভোকেট সিরাজুল ইসলাম মামুন, সদস্য নাহিদ মিয়া, ভূমিহীন মৎস্যজীবী ও অবাঙ্গালী বিষয়ক সম্পাদক শেখ নাসিরউদ্দিন, দপ্তর সম্পাদক ছামিউল আলম রাসু, রাষ্ট্র সংস্কার ছাত্র আন্দোলনের সভাপতি লামিয়া ইসলাম প্রমুখ।
বক্তারা বলেন, নদী ও পরিবেশ বাংলাদেশের অস্তিত্বের সাথে ওতপ্রোতভাবে জড়িত, তাই রাজনৈতিক নেতৃত্বকে অবশ্যই নদী রক্ষা ও টেকসই পরিবেশের ইস্যুতে অগ্রণী ভূমিকা নিতে হবে। যারা নদী ভরাট করবে তাদের অপরাধী হিসেবে চিহ্নিত করতে হবে এবং তাদেরকে আইনের আওতায় আনতে হবে।
আলোচনাসভায় নদী ও পরিবেশ রক্ষায় একটি জাতীয় কর্মপরিকল্পনা প্রণয়নের আহ্বান জানিয়ে বিভিন্ন প্রস্তাবনা দেন—
১। প্রতিটা রাজনৈতিক দলের মধ্যে পরিবেশ বিষয়ক দপ্তর রাখার নিয়ম বাধ্যতামুলক করতে হবে।
২। দলের কোন সংসদ জনপ্রতিনিধি নদী দখল কিংবা পরিবেশের জন্য হুমকি এমন কোন কাজে যুক্ত থাকার প্রমাণ পাওয়া গেলে তার বিরুদ্ধে ব্যবস্থা গ্রহণ করতে হবে।
৩। আন্তসীমান্ত নদীর সঠিক তালিকা প্রণয়ন করে প্রতিবেশী দেশগুলোর কাছ থেকে পানির ন্যায্য হিস্যা আদায় সরকারকে পরামর্শ দেয়া।
৪। চায়না দুয়ারী জাল সহ অবৈধ সব ধরনের বিদেশী জাল নিষিদ্ধ করতে হবে।
৫। নদী ও পরিবেশ বিষয়ক সরকারি প্রতিষ্ঠান যেমন পরিবেশ, বন, মৎস্য, নৌ পরিবহন ও বাংলাদেশ হাওড়, জেলা ভূমি উন্নয়ন অধিদপ্তর, পানি উন্নয়ন বোর্ড, জাতীয় নদী-রক্ষক কমিশন এবং নদী গবেষণা ইনস্টিটিউটসহ সংশ্লিষ্ট প্রতিষ্ঠানগুলোর জবাবদিহিতা নিশ্চিত করতে হবে।
আলোচনা সভার সঞ্চালনা করেন সংগঠনের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক দিদার ভূঁইয়া এবং সভাপতিত্ব করেন বাংলাদেশ রাষ্ট্র সংস্কার আন্দোলনের নদী পরিবেশ জলবায়ু ও দুর্যোগ বিষয়ক সম্পাদক ইবনুল সাঈদ রানা।
বার্তা প্রেরক
ইবনুল সাঈদ রানা
নদী, পরিবেশ, জলবায়ু ও দূর্যোগ বিষয়ক কমিটি,
বাংলাদেশ রাষ্ট্র সংস্কার আন্দোলন
ইমেইল: rashtrasongskar@gmail.com
ফোন: 01819-819799






